প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'ঢাকা মহানগরে আন্দোলনমুখী নেতৃত্ব গড়ে তুলতে দলকে ঢেলে সাজাচ্ছে বিএনপি। এরই মধ্যে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে মহানগর উত্তরের ৭১টি ওয়ার্ডে নতুন নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। নেতৃত্বে ত্যাগী ও যোগ্যরা আসায় সংগঠনের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ নানা কারণে পিছিয়ে রয়েছে মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। তবে তাঁরাও কাউন্সিল শুরু করে দ্রুত শেষ করতে চাইছেন।'
-এরপরও নগর কমিটির কাউন্সিল প্রক্রিয়া শুরু করায় উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা। তাঁদের ভাষ্য, প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কর্মীদের বলা চলে ভুলতে বসেছিলেন নেতারা। এখন কাউন্সিল ঘিরে নেতারা কর্মীদের কাছে আসছেন, ভোট চাইছেন; সংগঠনের কার্যক্রম সংহত করতে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। সত্যিকার অর্থে দলে গণতান্ত্রিক আবহ তৈরি হয়েছে, ভালো লাগছে।
-ঢাকা মহানগর দক্ষিণ :ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির প্রশাসনিক ওয়ার্ড ৭৫টি হলেও খাতা-কলমে সাংগঠনিক ওয়ার্ড ৮০। এর মধ্যে ৭৭ সাংগঠনিক ওয়ার্ডে আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়েছে। কোন্দলের কারণে বাকিগুলোতে এখনও কমিটি করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া বেশিরভাগ ওয়ার্ডে পাড়া-মহল্লা ও বাজারভিত্তিক ইউনিট কমিটি গঠনেও জটিলতা রয়েছে। ওয়ার্ডের দায়িত্বশীলরা পৃথকভাবে ইউনিট কমিটি জমা দিয়েছেন। এখন ওয়ার্ড নেতাদের মধ্যে সমন্বয় করে ইউনিট কমিটি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অবশ্য দক্ষিণের কার্যক্রম পিছিয়ে পড়ার পেছনে সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর কারাবন্দিকেও দায়ী করা হচ্ছে। এরপরও গত ৪ জুলাই খিলগাঁও এলাকার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলের কার্যক্রম শুরু হয়। ঈদুল আজহার বিরতির পর ২৫ জুলাই পর্যন্ত ৪০টি ওয়ার্ড কাউন্সিল করেছেন দায়িত্বশীলরা।
-এরই মধ্যে গত বুধবার রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উত্তরার বাসার সামনে ডেমরার পাঁচটি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। গভীর রাত পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে তাঁরা কমিটি গঠনের নানা অনিয়ম তুলে ধরেন। ডেমরার পাঁচটি ওয়ার্ডে ত্যাগীদের বাদ দিয়ে বহিরাগত, সুবিধাবাদীদের নেতৃত্বে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। এ সময় সারুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মোফাজ্জল বলেন, কাউন্সিলের ভোটেই নানা অনিয়ম করা হচ্ছে। দল ঠিক না করে জাতীয় পর্যায়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবি আদায় কখনও সম্ভব হবে না।
'এ বিষয়ে রফিকুল আলম মজনু বলেন, কাউন্সিলের জন্য আটটি সাংগঠনিক জোন কাজ করছে। প্রশাসনের বাধার কারণে অনেক ইউনিটের কাউন্সিল ভিন্ন এলাকায় করতে হচ্ছে। নেতৃত্ব বাছাইয়ে নূ্যনতম অনিয়ম হচ্ছে না। দলকে সংহত করতে সব পর্যায়ের নেতারা আন্তরিকভাবে দিন-রাত পরিশ্রম করছেন।'
ঢাকা মহানগর বিএনপি: আন্দোলনমুখী নেতৃত্ব গঠনে তোড়জোড়
-মহানগর উত্তর: ১ জুন থেকে কাউন্সিলের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর উত্তরে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় ঘরোয়াভাবে বেশিরভাগ ওয়ার্ড কাউন্সিল করা হয়। এরপর নির্বাচিত ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসব কমিটি গঠন শেষে আগামী মাসের শুরুতে থানা কমিটি গঠনে কাউন্সিল শুরু করবেন দায়িত্বশীলরা।
'মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে গণতান্ত্রিক সংকটের মধ্যেও আমরা দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা রেখেছি। সাধারণ মানুষেরও এভাবেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার কথা। আগামী দিনের আন্দোলনে তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে বর্তমান কমিটির নেতারা শক্তিশালী ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করছি।'